কনের সন্ধানে অস্থির ভাই

ঘুম থেকে উঠে যখন দাঁতে সকালের রোদ লাগাচ্ছিলাম তখন আমার নাকে একরাশ ধুলো মেরে অস্থির ভাই অস্থির চিত্তে বাইক হাঁকিয়ে চলে গেলেন। আমাকে অবাক হওয়ার সময়টুকু না দিয়ে তিনি আমার কাছে এসে ব্রেক কষলেন আর উনার বাইকের পিছনে উঠতে বললেন। আমিও ভদ্র ছেলের উনার আদেশ মেনে উনার ইলেক্ট্রনিক ঘোড়া মানে বাইকের পিছনে উঠে বসলাম।

-কোথায় যাচ্ছি? প্রশ্ন করলাম উনাকে কিন্তু তিনি কোন উত্তর না দেওয়ার আমি একটা রহস্যের গন্ধ পেলাম।

যখন কোথায় যেতে পারি এই চিন্তা মাথায় ভর করছিল তখন নিজেকে আবিষ্কার করলাম গার্লস কলেজের সামনে। তিনি আমাকে বললেন পছন্দ কর।

আমি অবাক হয়ে গোল গোল চোখ করে উনার প্রতি প্রশ্ন ছুড়লাম “পছন্দ করব মানে কি পছন্দ করব?” তারপর খুশী মনে বললাম “কিছু কিনে দিবেন নাকি আমাকে? তাহলে দোকানে চলেন।”

-আরে বোকা আমার বয়স কি আর বসে আছে, আমি দৌড়ানোর আগে আমার বয়স দৌড়ে যাচ্ছে, মাথার সব চুল পেকে সাদা হয়ে যাচ্ছে এদিকে তো কেউ নজর দিচ্ছে না। তাই পাত্রী খোঁজার মিশনে নামতে বাধ্য হয়েছি। বিস্তারিত পড়ুন

অস্থির ভাই ও একটি বই

 

।।১।।
অস্থির ভাই এলাকায় এক নামে পরিচিত, একনামে পরিচিত না হয়ে উপায় আছে উনার বাবা মা উনার আর কোন নাম রাখেই নাই। অন্য নাম না রাখার কারন আছে অবশ্যই। কারনটি হলো অস্থির ভাই জন্মের পর থেকেই অস্থির, কারো কোলে স্থির থাকেননি। উনার বাবা উনার নাম দিতে চেয়েছিলেন ভারতের ক্রিকেটার আজহার উদ্দিনের নামে, কিন্তু তা উনার স্ত্রীর পছন্দ নয়। আবার উনার স্ত্রীর পছন্দের নাম অন্য কারো পছন্দ নয়। নাম নিয়ে এক অস্থির অবস্থা। শেষে সব নাম ধুলীস্যাত করে নাম রাখা হলো অস্থির।

পৃথিবীতে নামের সাথে চরিত্র মিলে যায় এমন ঘটনা খুব একটা ঘটে না। যেমন যার নাম শান্ত দেখা যায় সেই হয় সবচেয়ে অশান্ত, আবার যার নাম নীরব সে হয়ে উঠে বাচাল, আবার সুনাম নামের লোকজন ডেকে আনে দুর্নাম।, কিন্তু আমাদের অস্থির ভাই নামে যেমন কাজেও তেমন। অস্থির সব চিন্তা ভাবনা সবসময় উনার মাথায় গুরুপাক খায়। আড়ালে অনেকে উনাকে হুজুগে মাতাল বললেও উনি যুগের সাথে তাল দিয়ে চলেন। যেকোনো দিবসের জন্য তিনি র্অডার দিয়ে ঐ দিবসের সাথে মিল রেখে পোশাক বানান ও তাই পড়েন। যেমন গত বৈশাখে পরেছেন লাল পায়জামা আর সাদা পাঞ্জাবি সাথে ইলিশ মাছের আইচ দিয়ে তৈরি করা স্পেশাল লকেট। বিজয় দিবসে পরেছিলেন পায়জামা ও পাঞ্জাবী, পায়জামার একপায়ের রং ছিল সবুজ ও আরেক পায়ের রং ছিল লাল। আর পাঞ্জাবীতে প্রিন্ট করিয়েছিলেন সবুজ মাঠের উপর লাল সূর্যের ছবি। ভাষা দিবসের জন্যও তৈরি করিয়েছেন কালো রঙের একহাতা পাঞ্জাবী তাতে রক্তের ছাপ সাথে সাদা পায়জামা, পায়জামায় অক্ষর আকা। বিস্তারিত পড়ুন